Category : ত্বকের যত্ন
ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ হলো বেসন। ত্বকের পুষ্টি জোগানোর উপাদানগুলো বিদ্যমান থাকায় বেসনকে ত্বকের শক্তিঘর বলা হয়। এটি ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের যত্নেই অনেক কার্যকরী। সহজলভ্য এই উপকরণটি ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বেসনের ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়। এ ছাড়া রোদে পোড়া দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতেও ভূমিকা রাখে বেসন। তাই ত্বকের যত্নে রূপচর্চায় বেসন রাখার বিকল্প নেই।
সারা শরীরের ত্বকে যেমন মেলানিন রয়েছে ঠিক তেমনি ঠোঁটেও রয়েছে।ফর্সা ত্বকের মানুষদের প্রাকৃতিক ভাবেই মেলানিন কম থাকে।তাদের ঠোটঁও গোলাপী বা লাল রঙের হয়ে থাকে।আর যাদের ত্বক কালো, তাদের ঠোটও বেশী মেলানিন থাকার কারনে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কালো হয়। তবে অনেক ফর্সা বা শ্যাম বর্নের ত্বকের মানুষদের ঠোটঁও বিভিন্ন কারনে কালো হয়ে যায়। আপনার কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস অথবা অসচেতনতাও আপনার ঠোটকে কালো করে দেয়। প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোটঁ গোলাপী করতে বাসার যে যে জিনিস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আমন্ড হলো কাঠবাদাম। প্রাচীনকাল থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ভারতীয় উপমহাদেশ ও উত্তর আফ্রিকায় আমন্ড ও আমন্ড অয়েলের বহু ধরনের ব্যবহার চলে আসছে। এই তেল চুল ও ত্বকের যত্নে অনন্য। হেয়ারোবিকস ব্রাইডালের রূপ বিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন মিউনী জানাচ্ছেন আমন্ড অয়েলের গুণাগুণ সম্পর্কে, লিখেছেন স্মিতা দাস আমন্ড অয়েলে প্রচুর পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (ওমেগা-৯ ও ওমেগা-৬), ভিটামিন ই ও মিনারেল (জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম) রয়েছে। এ কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও ত্বকের যত্নে এটি খুবই উপকারী। আমন্ড অয়েলে প্রচুর আনস্যাচুরেটেড ওলেইক এসিড (ওমেগা-৯) ও লিনোলিক এসিড (ওমেগা-৬) থাকে, যা সাধারণ স্যাচুরেটেড ভোজ্য তেলের মতো কোলেস্টেরল জমা করে না। এ ছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। ১০০ মিলি আমন্ড অয়েল দৈনিক চাহিদার প্রায় আড়াই গুণ ভিটামিন ই সরবরাহ করে। ফলে ত্বক ও চুল সুস্থ ও সজীব থাকে। আমন্ড অয়েলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আপনি যদি কম খরচে প্রতিদিনের রূপচর্চা করতে চান, আপনাকে অবশ্যই তাহলে আপনার রান্নাঘরের সাহায্য নিতে হবে। আপনার রান্নাঘরের বেশীর ভাগ জিনিসই দিয়েই অনায়াসে আপনার দৈনন্দিন রূপচর্চা প্রয়োজন মেটাতে পারেন। এর মধ্যে মসুর ডাল আপনার জন্য হতে পারে অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান। উজ্জ্বল এবং তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য আপনি মসুর ডালের এই ৫টি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের সময় শুস্ক আবহাওয়ায়, শরীরের ত্বকের সাথে সাথে ঠোঁট ও শুস্ক হয়ে যায়। ঠোঁটে আর্দ্রতা যোগাতে এই সময় ভ্যাসলিন অথবা লিপ বাম ব্যবহার করার পাশাপাশি, সপ্তাহে ২/৩ বার লিপ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এই মাস্ক তৈরি করা খুব সহজ, নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ঠোঁটের ডেড সেল সরিয়ে ঠোঁট আরও নরম হয়ে উঠবে।
নারকেলের দুধ অনেক বছর আগে থেকেই ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানেই শুধু নয়, বরং চুলের সৌন্দর্য রক্ষায়ও সমানভাবে কাজ করে নারকেল দুধ। হারমোনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, নারকেল দুধে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ইলেকট্রোলাইড, অ্যামিনো অ্যাসিড। এ ছাড়া আছে ছত্রাকরোধী (অ্যান্টি ফাঙ্গাল) উপাদান, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল, যা ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। এর মধ্যে আরও আছে ভিটামিন সি, বি-১, বি-৫, বি-৬, ই, আয়রন ও প্রাকৃতিক লবণ। তাই এক কথায় বলা যায় যে রূপচর্চায় নারকেল দুধের জুড়ি মেলা ভার। ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন নারকেলের দুধ। প্রথমে নারকেল কুড়িয়ে নিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিলেই পেয়ে যাবেন নারকেল দুধ। যত্নে নারকেল দুধের কিছু উপকারিতা।
Popular Posts
-
হলুদের ডালা সাজাবেন কিভাবে ?
12.01.2019 0 Comments 13620 -
এ সময়ের বিয়ের সাজ
15.01.2019 0 Comments 13570 -
নাকফুল কথন
07.04.2018 0 Comments 13245 -
বৈচিত্র্যময় ব্লাউজ
15.04.2018 0 Comments 11417 -
বিয়ের অনুষঙ্গ
06.02.2018 0 Comments 10390 -
যে ৬ উপায়ে লেহেঙ্গার ওড়না পড়তে পারেন
03.11.2018 0 Comments 10238
Categories
-
সৌন্দর্যচর্চা(278)
ত্বকের যত্ন (113)
চুলের যত্ন (56)
মেকআপ(65)
সুগন্ধি(8)
প্রোডাক্ট রিভিউ(0)
পায়ের যত্ন(6)
লিপ কেয়ার(3)
হাতের যত্ন(4)
হেয়ারস্টাইল(8)
আই মেকআপ(15) -
অন্যান্য(121)
মেনজ কর্ণার(33)
টিপস(33)
গৃহসজ্জ্বা(17)
সম্পর্ক(21)
ক্যারিয়ার(7)
ফিচার(6)
শৈশব-কৈশোর(3) -
স্বাস্থ্য(129)
দৈহিক স্বাস্থ্য(102)
মানসিক স্বাস্থ্য(13)
ব্যায়াম(14) -
ফ্যাশন(127)
পোশাক(87)
জুতা(3)
অনুসঙ্গ(37) - গ্ল্যামার জগৎ(16)
- রান্নাঘর(58)
- ব্রাইডাল (31)
- Test(0)