
চুল কাটুন মুখের গড়ন বুঝে
সবার চেহারার গঠন এক নয় তাই সবার চেহারার সঙ্গে সব ধরনের চুলের স্টাইল মানায়ও না। কাউকে এক স্টাইল ভালো লাগা মানে এই নয় ওই একই চুলের স্টাইল আপনার সঙ্গেও মানিয়ে যাবে। তাই অন্যের হেয়ারস্টাইল পছন্দ হলেই সেভাবে চুল না কেটে আগে নিজের চেহারা সম্পর্কে সঠিক ধারনা করুন। প্রথমে জানতে হবে মুখের গড়ন সম্পর্কে এবং এরপর মানানসই হেয়ারস্টাইল বেছে নিতে হবে।
গোলাকার মুখ-
এই গড়নের মুখের গঠনের সঙ্গে চুল পিছনের দিকে টেনে আচড়ালে চেহারা কিছুটা ওভাল শেপ দেখাবে। যদি ব্যাংস করতে চান তবে চোখের নিচ পর্যন্ত লম্বা করে কাটবেন। যদি আপনার চুল ছোট হয় তাহলে লেয়ারস করতে পারেন। এর ফলে আপনার চেহারা কিছুটা লম্বা দেখাবে। আর চুল কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন কানের দুই পাশের অংশ একটু চাপা দেখায়। মাথার ওপরের ও সামনের অংশের চুল অপেক্ষাকৃত বড় ও খাড়া রাখতে হবে। কোকড়া চুলের ক্ষেত্রে গোলাকার মুখের সঙ্গে কখনোই ছোট চুল রাখা উচিত নয়, এতে মুখ আরও ভরা দেখাবে।
চারকোণা মুখে-
এই মুখের শেপে লম্বা চুল হলেই বেশী মানাবে। এই শেপে দেখা যায় চিবুকের অংশটা বেশি প্রশস্ত হয়। তাই সামনের দিকে খানিকটা লেয়ার করা চুল চিবুকের প্রশস্ততা কমিয়ে আনে। যদি আপনার চুল ছোট হয়ে থাকে তাহলে চুল পেছন থেকে গোল করে কাটুন, পারলে কার্ল করুন। আর লম্বা চুলে ব্যাংস কেটে ভিন্ন লুক দিতে পারেন। এতে সবার নজর আপনার কপালের অংশে থাকবে। লেয়ার হেয়ার কাটিং আয়তাকার মুখের জন্যে সবচেয়ে ভালো।
লম্বাটে মুখে-
লম্বাটে মুখে ফ্ল্যাট আয়রন ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকবেন। কারন এতে আপনার মুখটা আরো লম্বা দেখাবে। ফ্রন্ট লেয়ার করে পেছনে স্টেপ কাট করতে পারেন অথবা পার্টিতে যাওয়ার সময় কার্ল করতে পারেন। চুল টেনে না বাঁধাই ভালো। এতে মুখ আরো লম্বাটে দেখাবে।
ওভাল শেপ-
এই শেপের মেয়েদের হেয়ার স্টাইল নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় না। এরা যেভাবেই চুলের স্টাইল করুক না কেন তাদের সুন্দরভাবে মানিয়ে যায়। এই মুখের শেপে লম্বা ঢেউ খেলানো চুল যেমন মানাবে তেমন চাইলে ঘাড় পর্যন্ত চুলও সুন্দর লাগবে। কপাল চওড়া হলে সামনে ব্যাংস কেটে নিতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের ফেস শেপ
ডায়মন্ড শেপ-
এই মুখের শেপ অনেকটা ওভাল শেপের মতো লাগে। এদের মুখ যতটা না প্রশস্ত তার চেয়ে বেশি লম্বা। হেয়ার স্টাইল করার সময় কপাল ও থুতনির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন চুলের স্টাইল করতে হবে, যেন গালের গাড় ছোট দেখায়। ইমো এবং লেয়ার কাট এই শেপে সবচেয়ে বেশি মানাবে। ব্যাংস করতে চাইলে লেয়ার রাখতে হবে সেটা যেন বেশি ছোট না হয়। সামনে একটু ফুলিয়ে পেছনে পনিটেইল করতে পারেন, চুল টেনেও বাধতে পারেন।
হার্ট শেপ-
যাদের কপালের অংশ প্রশস্ত আর চিবুকের কাছটা তীখ্ন তাদেরকে এই শেপের অধিকারী বলা যায়। তাই সব সময় এমন স্টাইল করতে হবে যেটাতে কপাল ঢাকা থাকে। যেমন ব্যাংস, চাইনিজ কাট। চুল যদি ছোট হয় সেক্ষেত্রে সেগি, বব কাট মানাবে ভালো। পিছনে লেয়ার করে সামনে ব্যাংসও এই ধরনের মুখের গড়নের সঙ্গে মানিয়ে যায়।
ছবিঃ সংগৃহীত