
আপনার বিয়ের ফটোগ্রাফি
ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছে অথচ ফটোগ্রাফি হবে না এমনটা তো হতেই পারে না! বিয়ে মানেই সুন্দর সুন্দর ছবি, আর বিয়ের ছবি মানেই ওয়েডিং ফটোগ্রাফি।
তবে সুন্দর সুন্দর পোজের ছবি তুলতে চাইলেও ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেক সময় পছন্দমত ছবি পাওয়া যায় না। তাই জেনে নিন বিয়ের মৌসুমে ফটোগ্রাফির কিছু টিপস-
১. ওয়েডিং ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে খোঁজ নিন পরিচিত কোনো দক্ষ ফটোগ্রাফার রয়েছে কিনা। অপরিচিত যেকোনো ফটোগ্রাফারের সামনে হঠাৎ পোজ দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নাও করতে পারেন। তাই প্রথমে আশেপাশের পরিচিত ওয়েডিং ফটোগ্রাফারের খোঁজ নিন।
২. তবে মনে রাখতে হবে, কারো ডিএসএলআর ক্যামেরা থাকলেই সে দক্ষ ফটোগ্রাফার হয়ে যায়না। নিজেদের সুন্দর মুহূর্তগুলো বন্দি করতে দক্ষ কাউকেই প্রাধান্য দিন।
৩. গায়ে হলুদ, বিয়ে, বউ ভাত এই তিনটি অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট অনুযায়ী আগে থেকেই ঠিক করে নেবেন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার।
৪. অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার কোথায় পাবেন। বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজেই পেয়ে যেতে পারেন সব ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের ডিটেইলস। তাদের নাম, কাজের ধরণ, পারিশ্রমিক, ডিউরেশন যাবতীয় সবকিছুই খুঁজে পাবেন ফেইসবুক পেইজে। শুধু নক করে কথা বলে নিলেই সব জানতে পারবেন।
৫. সব সময় যে আপনি রেডি হয়ে পোজ দেবেন আর ফটোগ্রাফার সুন্দর ছবি তুলবে, তা কিন্তু নাও হতে পারে। আপনার অজান্তেই বিয়ের আবেগঘন স্বতঃস্ফূর্ত মুহূর্তের ছবিগুলোও হতে পারে আপনার সবচেয়ে পছন্দের ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাকে বলে ‘ক্যান্ডিড’। তাই মন থেকেই পুরো প্রোগ্রামটা উপভোগ করুন। ফটোগ্রাফার নিজেই আপনার স্বতঃস্ফূর্ত মুহূর্তগুলো বন্দী করে রাখবে। শুধু ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না, ফটোগ্রাফারকেও সুযোগ দিন।
৬. বিয়েতে অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে যা পালন করতে হয়। যা জীবনে কেবল একবারই পাবেন। তাই প্রত্যেকটি মুহূর্ত ধরে রাখার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন স্পেশাল মুহূর্তের ছবিগুলো তোলা হচ্ছে কিনা। নিজে না পারলেও বিশ্বস্ত কাউকে ফটোগ্রাফারের সাথে সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব দিন।
৭. আশেপাশের কাজিন, কাছের দূরের বন্ধুবান্ধব আর অন্যান্যদের মাধ্যমেও অনেক ছবি তোলা হয়ে থাকে। সেদিকেও নজর দিতে পারেন। তাদের হাতেও পেতে পারেন অসাধারণ কিছু মুহূর্তের ছবি।
৮. পোজ দেয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন রঙঢঙ করতে গিয়ে যেন তা কৃত্রিম না লাগে। মনে রাখবেন এটা আপনাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। তাই প্রত্যেকটা মুহূর্ত তুলে ধরুন ন্যাচারালভাবে।
৯. বিয়ের দিন ফটোগ্রাফারের সামনে ছবি তোলার সময় কমন কিছু পোজ ছাড়া কিছু মাথায়ই আসেনা। এই ঝামেলা এড়াতে চাইলে বিয়ের আগে বিভিন্ন পেইজ থেকে কালেকশন করতে পারেন নানা পছন্দসই ছবি। সেই কালেকশন অনুযায়ী ফ্রেমবন্দী করতে পারেন মুহূর্তগুলো।
১০. বিয়েতে কাপল ছবি তো থাকবেই, পাশাপাশি গ্রুপ ছবির দিকেও নজর দিন। নিয়মিত যোগাযোগ বা আসা যাওয়া না থাকলেও বিয়েতে প্রায় মামা, চাচা, খালা, দাদা, নানিসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন আসেন। প্রত্যেকের সঙ্গেই নিজেকে ফ্রেমবন্দী করার চেষ্টা করুন। স্মৃতির এলবামে এই ছবিগুলোই একদিন অনেক কিছু মনে করিয়ে দেবে।
সুন্দর হোক আপনার স্পেশাল মুহূর্তগুলো।
সূত্রঃ সময় টিভি
ছবিঃ সংগৃহীত